জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) দেশের যুব সমাজকে ফ্রিতে মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করার লক্ষে ২০১৮ সাল থেকে ফ্রিতে মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করেছে।
যাতে দেশের যুব সমাজ বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।
বিএমইটি তার আওতাধীন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে পঞ্চাশের অধিক কর্মমূখী ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে।
এবং চলমান বিভিন্ন কর্মমূখী ট্রেডের মধ্যে “মোটর ড্রাইভিং” প্রশিক্ষণ অন্যতম।
দেশে ও বিদেশে মোটরযান চালকের ব্যাপক চাহিদা বিদ্যমান থাকায় ড্রাইভিং পেশা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
বর্তমানে দেশের বেকারত্ব সমস্যা দূরীকরণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কারিগরি প্রশিক্ষণের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে।
এ বিষয়ে সরকার ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রকার প্রকল্প গ্রহনের উদ্দোগ গ্রহণ করেছে।
বিএমইটি কর্তৃক পরিচালিত কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রকল্প তন্মধ্যে একটি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন Skills for Employment Investment Program (SEIP) এর অর্থায়নে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) সমূহে “মোটর ড্রাইভিং উইথ বেসিক মেইনটেন্যান্স” কোর্স চালু রয়েছে।
উক্ত কার্যক্রমের আওতায় জননশক্তি ও কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অধীনে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সম্পূর্ণ সরকারি খরচে “ড্রাইভিং লাইসেন্স” প্রদান করে।
এবং “ইরেজি ও আরবী” ভাষায় প্রশিক্ষণসহ ০৪ মাস মেয়াদি (৩৬০ ঘন্টা) কোর্সে জানুয়ারি/২০১৮ হতে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
এ সকল প্রশিক্ষিত চালক ও কারিগরগণ দেশে বিদেশে চাকুরি লাভ করবে বলে আশা করা যায়।
বর্তমানে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার একটি অন্যতম কারণ অদক্ষ চালকদ্বারা সড়ক/মহাসড়কে যানবাহন পরিচালনা।
এক্ষেত্রে সরকার উক্ত প্রকল্পের আওতায় আগামী ০৫ বছরে ১ লক্ষ দক্ষ গাড়ীচালক তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশের বেকার ও সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠিকে সম্পূর্ণ সরকারি খরচে মানসম্পন্ন মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদান করছে।
এবং প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময়ের জন্য নির্দিষ্ট হরে ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় দেশের বেকার ও সুবিধা বঞ্চিত জনগন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে।
এবং দেশের সড়ক দূর্ঘটনা এবং অনিয়ম উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাসে বিশেষ ভাবে অবদান রাখবে।
এবং নিজেকে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চালক হিসাবে গড়ে তুলতে পারবে।
যার ফলে নিজেদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন।
এবং একটি নিরাপদ সড়কের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অপার সম্ভভাবনার দ্বার খুুুুুলবে বলে আশা করা যায়।